সোমবার (৯ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, খুলনা, মাদারীপুর, বরিশালসহ দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং জেলার আভ্যন্তরীণ রুটেও সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের ফলে এ সব রুট দিয়ে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
রোববার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার গোপিনাথপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে পলিটেকনিকের এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে ও দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
পরে রোববার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনস বাসস্ট্যান্ডে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাসু শেখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তরা অনির্দিষ্টকালের পারিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। বিগত কয়েক মাস ধরে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো মামলা নিচ্ছে না। অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না হওয়া পযর্ন্ত জেলার সব রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলবে। সেইসঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সমিতিকে চিঠি দিয়ে ধর্মঘটে আনা হবে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় ৭ থেকে ৮শ’ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
আরএ