ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

সিলেটে অটোরিকশার দাপটে বিলুপ্ত হচ্ছে টাউন বাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:৩৫, এপ্রিল ৯, ২০১৮
সিলেটে অটোরিকশার দাপটে বিলুপ্ত হচ্ছে টাউন বাস সিলেটে অটোরিকশার দাপটে বিলুপ্ত হচ্ছে টাউন বাস। ছবি: আবু বকর। 

সিলেট: ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে সিলেটের টাউন বাস। নগরের সিটি পয়েন্ট থেকে শহরতলীর বেশ কয়েকটি সড়ক হয়ে যাতায়াত করে বাসগুলো।

ভাড়ার পরিমাণ কম হওয়ায় প্রথমদিকে যাত্রীদের প্রথম পছন্দ ছিলো এসব টাউন বাস। মাত্র ১৫ টাকার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় যেকোনো গন্তব্যে।

সার্ভিসের মানও ছিল সন্তোষজনক।

সিলেট নগরে মাত্র ৭টি পরিবহন দিয়ে টাউন বাসের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে গণপরিবহণ হিসেবে ভালই প্রাধান্য পায়। বাস মালিকরাও যাত্রীদের আগ্রহ দেখে আরও ৩৭টি বাস নামান বিভিন্ন সড়কে।

কিন্তু গণপরিবহন হিসেবে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে টাউন বাস। যাত্রীরাও নিচ্ছেন মুখ ফিরিয়ে। ফলে বাস সার্ভিস প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আর ভর্তুকি বহনে অপরাগ হয়ে বাস বিক্রিও করে দিয়েছেন একাধিক বাস মালিক।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১৪ সালে দুই হাজার সিএনজি অটোরিকশা নতুন রেজিস্ট্রেশন পায়। সেই সুবাদে সিলেটের বিভিন্ন সড়কে অন্তত ২২ হাজার রেজিস্ট্রেশনভূক্ত অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) রাস্তায় চলাচল করছে বলে তথ্য দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সিলেট অফিস।          

বিআরটিএ সিলেটের উপ পরিচালক কে. এম মাহবুব বাংলানিউজকে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এটাও জানান যে, হিউম্যান হলার ও অবৈধভাবে চলা সিএনজি অটোরিকশার বিষয়ে কোনো তথ্য বিআরটিএ সংগ্রহ করে না।

অনেকের ধারণা, সিলেটে রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশার সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার। আর সড়কে অটোরিকশার এই সহজলভ্যতাই বাসের যাত্রীদের করে তুলছে অটোরিকশানির্ভর।

সিলেট মহানগরীর প্রায় সব সড়কেই চলাচল করে এসব অটোরিকশা। এগুলোতে চড়ে বাসের তুলনায় দ্রুতগতিতে চলাচল করা যায়। বাসের জন্য যাত্রীদের অনেকসময় অপেক্ষায় দাঁড়াতে হয়, এদিকে সিএনজি পাওয়া যাচ্ছে ডাক দিলেই। তাই বাসের বদলে সিএনজি হয়ে উঠেছে যাত্রীদের প্রথম পছন্দ, এমনটাই বলতে শোনা যায় সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী একাধিক যাত্রীকে।

বর্তমানে সিলেট নগরী থেকে হেতিমগঞ্জ ও মোগলাবাজার রুটের জন্য রয়েছে ১২টি টাউনবাস। এগুলোরমধ্যে ৬টি রয়েছে সার্ভিসিংয়ে। বাকি ৬টি দিয়ে কোনোরকমে পরিবহন সেবা চালু রাখা হয়েছে, জানান সংশ্লিষ্টরা।

টাউন বাস সার্ভিসের ব্যবস্থাপক এরশাদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে ৬টি বাস দিয়ে লাইন চালু রাখা হয়েছে। মূলত যাত্রীরা এখন আর বড় গাড়ির অপেক্ষায় থাকেন না। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দ্রুত চলাচলের জন্য সিএনজি অটোরিকশা ও হিউম্যান হলারে যাতায়াত করেন তারা। তবে দরিদ্র মানুষগুলো কম টাকায় যাতায়াত করার জন্য টাউন বাসে। যে কারণে মালিকরা আগ্রহ হারিয়ে এ ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এনইউ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।