রোববার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কল্যাণপুর, শ্যামলী এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসগুলো একে অন্যের আগে যাওয়ার খেলায় মত্ত। সাভার, গাবতলী হয়ে মতিঝিল, নিউমার্কেটগামী গণপরিবহনের এমন প্রতিযোগিতায় যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কল্যাণপুর, শ্যামলীতে নেই যাত্রী উঠা-নামার নির্দিষ্ট কোনো স্থান, নেই ‘বাস বে’। শ্যামলী থেকে যেসব যাত্রী মতিঝিল বা নিউমার্কেট যাবেন তারা সিট পাওয়ার আসায় শ্যামলী ছেড়ে এগিয়ে শ্যামলী-কল্যাণপুরের মাঝামাঝি একমি ভবনের পাশের রাস্তায় অপেক্ষা করেন। বাসগুলো কল্যাণপুর থেকে যাত্রী নিয়ে দুই মিনিট না যেতেই আবার যাত্রী উঠাতে ব্যস্ত। এভাবে চলে প্রতিযোগিতা। একটা বাস যাত্রী তুলছে তো আরেকটা পেছন থেকে এসে ধাক্কা মারছে। আবার আরেকটা সামনের যাত্রী উঠানোর জন্য ওভারটেক করে সামনে গিয়ে আটকে দিচ্ছে। কোনো চালকই লুকিং গ্লাস ব্যবহার করছে না। আর এজন্যই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শ্যামলীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. কাওছার উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, বাস চালকদের পীড়াপীড়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। ওদেরই বা কি বলবো। ওদের টার্গেট দেওয়া থাকে। সেটা পূরণ করতে গিয়েই প্রতিযোগিতা করছে। তাছাড়া রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় অনেকে রাস্তাতেই যাত্রী উঠা-নামা করাচ্ছে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বাস দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। এজন্য আমরা বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে যারা ডেসপারেট গাড়ি চালাচ্ছে তাদের জরিমানা করছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্ঘটনা কমাতে অবশ্যই বাস বে এবং যাত্রী-উঠা নামার নির্দিষ্ট স্থান করতে হবে। পাশাপাশি যাত্রী বা পথচারীদের সচেতনতাও বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এসএম/আরআর