ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বাঁশের সাঁকোই ভরসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৩০, এপ্রিল ৯, ২০১৮
বাঁশের সাঁকোই ভরসা বাঁশের সাঁকোয় পারাপার/

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধুলসার ইউনিয়নের একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দীর্ঘদিনের দাবিতেও ব্রিজ নির্মাণের দৃশ্যত কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা নিজেদের টাকায় বাশেঁর সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন। 

চাঁদা তুলে বছরে দু’বার মেরামত করতে হয় সাঁকোটি। আর এই সাঁকো দিয়েই শিক্ষার্থীসহ অসুস্থদের চরম ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ধুলাসার, ডাবলুগজ্ঞ এবং মহিপুর ইউনিয়নের মাঝখানে প্রবাহিত খাপড়াভাঙ্গা খালের ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা পয়েন্টে বাঁশের সাঁকোটির অবস্থান।

ঝুঁকি নিয়েই এটি দিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে তারিকাটা, নয়াকাটা, নয়াকাটা দিওর, বৌলতলীপাড়া, মুসলিমপাড়া, বেতকাটা, বেতকাটাপাড়া, সোনাপাড়া, পক্ষিয়াপাড়া, কাজিকান্দা, সুরডগি, বরকতিয়া, খাপড়াভাঙ্গা, মনসাতলী ও খোচাউপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ’ মানুষ।  

সাঁকোটি পার হয়েই নয়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারিকাটা দাখিল মাদ্রাসা এবং দক্ষিণ পাড়ে মিশ্রিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ, শিববাড়ীয়া ও লক্ষ্মীবাজারে যায় ওইসব গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের আবেদনের পরও কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ২০০৫ সালে নিজেদের উদ্যোগ ও অর্থায়নে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দে তিন টন চাল দিয়ে সাঁকোটির সংস্কার করা হয়।  

তবে বর্তমানে সাঁকোটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র তানভীর।

নয়াকাটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নোয়াব আলী হাওলাদার জানান, খাপড়াভাঙ্গা খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির পাশাপাশি নানা কাজে পিছিয়ে পড়ছে আশপাশের গ্রামের মানুষ।

এদিকে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আ. মোতালেব তালুকদার।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।