ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

সংসদে প্রথম বক্তৃতায় তরুণ দুই এমপি যা বললেন...

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৭, এপ্রিল ৮, ২০১৮
সংসদে প্রথম বক্তৃতায় তরুণ দুই এমপি যা বললেন... বদরুদোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদের শেষ বর্ষে সংসদ সদস্য হয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলার সুযোগ পেয়ে শেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন দুই এমপি। বয়সে দুইজনই তরুণ।

রোববার (০৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংসদ অধিবেশনে কথা বলার সুযোগ পান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে উপ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বদরুদোজ্জা মো. (বিএম) ফরহাদ হোসেন। এছাড়া কথা বলেন গাইবান্ধা-১ আসনের উপ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।


 
বদরুদোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণের পাশাপশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়- এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
 
কথা বলার সময় স্পিকার তাকে তিন দফা সময় বাড়িয়ে দেন। প্রায় ১২মিনিটের বক্তৃতায় তিনি নবীন সদস্য হিসেবে সিনিয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি তরুণ আমি আপনাদের কাছ থেকে সংসদের নিয়মনীতি শিখতে চাই। আমরা তরুণরাই ভবিষতের ভিত গড়ে তুলব।
 
তিনি বলেন,  ‌‌বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘বিশ্ব আজ শোষক আর শোষিত / এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত’। শোষিতের পক্ষে আওয়ামী লীগের যে অঙ্গীকার আমরা তারই উত্তরাধিকার। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা ধাবিত হচ্ছি। এই অগ্রযাত্রার পথ মসৃণ রাখতে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিতে হবে এই অঙ্গীকার করছি। আমরা যারা নবীন আমরা ভবিষতের ভিত গড়ে তুলব।
 
প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন আমি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তা পালন করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে শরিক হবো।  
 
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় পার্টি এদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে নতুন ধারার বিরোধী দলের ভূমিকা রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই সময়ের বিরোধী দল একটি অশ্লীল শব্দও ব্যবহার করেনি। এটা বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির একটা অর্জন। আমি যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি সেই সুন্দরগঞ্জ অবহেলিত এলাকা। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। নদীভাঙন বন্ধ করতে বড় প্রকল্প নেয়া দরকার। এই উপজেলায় ৮ লাখ লোকের বসবাস। কিন্তু কলেজে মাস্টার্স ক্লাশ নেই। অতি দরিদ্রের  সংখ্যা অন্যান্য এলাকায় কমলেও সুন্দরগঞ্জে কমেনি। একটিমাত্র সরকারি হাসপাতাল। সেখানে একজন ডাক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে উন্নয়নের সুফল সর্বত্র পৌঁছাবে কিভাবে? এটা সরকারের একটা ব্যর্থতা। আমি সমস্যাগুলো সমাধানের দাবি জানাই।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এসএম/এসকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।