ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

দশ কোটি জাল রুপি তৈরির সরঞ্জাম ছিলো বাড়িটিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫১, এপ্রিল ৮, ২০১৮
দশ কোটি জাল রুপি তৈরির সরঞ্জাম ছিলো বাড়িটিতে উদ্ধারকৃত জাল রুপি

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণ মনিপুরের মোল্লাপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে জাল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব। তার ভিত্তিতে বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযান শেষে র‌্যাব জানায়, প্রায় দশ কোটি জাল মুদ্রা তৈরির সরঞ্জাম মজুদ ছিলো বাড়িটিতে। এক লাখ জাল রুপি ১৫ হাজার টাকায় সরবরাহ করতো চক্রটি।

রোববার (০৮ এপ্রিল) রাতে অভিযান শেষে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মনিপুরের ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে প্রায় দশ কোটি টাকার জাল রুপি তৈরির সরঞ্জামসহ রুমিসা ও আনু নামের দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাখালী থেকে বশির, আল আমিন ও খশরু এবং মিরপুর-১০ থেকে সেলিম, শাহীন ও সবুজ নামে কয়েকজনকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রস্তুতকৃত পঞ্চাশ লাখ জাল রুপি ও ৫ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

মুফতি মাহমুদ বলেন, বাড়িটিতে জাল রুপি তৈরির সবকিছুই রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে মুদ্রা পরিবর্তনের সুযোগটি নেয় চক্রটি। তারা উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে মুদ্রা পাচার করতো। জাল মুদ্রাগুলোর গুণগত মান অনেক ভালো।

আটকদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, জাল মুদ্রাগুলোর চাহিদা আরেকটি গ্রুপের কাছ থেকে বশির ও শাহীন নিয়ে সেলিমকে জানাতো। সেলিম মুদ্রাগুলো প্রিন্টিং করতো। এ কাজে তাকে সাহায্য করতো তার স্ত্রী রুমিসা ও শ্যালিকা আনু।

জাল রুপিগুলো দুই হাজার ও পাঁচশ'র নোট তৈরি করা হতো জানিয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি তিনটি চালানের অর্ডার পায় চক্রটি। এরইমধ্যে পঞ্চাশ লাখ টাকার একটি চালান সরবরাহও করেছে তারা।

রাজধানীর এই বাড়িটিতে তিন বছর ধরে সেলিম ভাড়া থাকতো। চক্রের আরেকজন বশির পনেরো বছর মালয়েশিয়ায় বসবাস করেছে। দেশে আসার পর এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই জাল মুদ্রা তৈরির দীক্ষা নেয় সে।

তিনি আরো বলেন, ধরা না পড়লে দশ কোটি টাকার জাল মুদ্রা তৈরি করতে পারতো চক্রটি। এক লাখ টাকার জাল মুদ্রার চালান শেষে বাংলাদেশি টাকায় দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা পেতো চক্রের সদস্যরা।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য বের হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।