ঢাকা, সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে শিখছে কিশোর-কিশোরীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৩৪, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে শিখছে কিশোর-কিশোরীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: নারী ও পুরুষের যৌবনের আগমনই হলো বয়ঃসন্ধিকাল। আক্ষরিক অর্থে বয়ঃসন্ধি বলতে বোঝায় যৌন পরিপক্কতার জন্য শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে সেটিকে।

একটা সময় ছিল কিশোর-কিশোরীরা এ সময়কালের কথা কাউকে বলতে পারতো না। ফলে নানা সমস্যায় ভুগতো। কিন্তু সময় পাল্টেছে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে এখনকার কিশোর-কিশোরীরা সাহসী হয়ে উঠছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় ও পরামর্শ সভায় বক্তার এই অভিমত ব্যক্ত করেন।  

এসেট প্রকল্পের আওতায় কিশোর কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

এতে বক্তারা বলেন, বয়ঃসন্ধিকাল হচ্ছে শৈশব ও সাবালকত্বের মধ্যবর্তী একটি মানসিক ও সামাজিক ক্রান্তিকাল। এ সময় ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু তা সম্পর্কে তেমন কোনো সঠিক ধারনা না থাকায় অনেকে লজ্জায় নিজের মধ্যে চেপে যান বিষয়গুলো। এছাড়া এই সময়টাতে তারা বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যা পরবর্তীতে তার জীবনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

সভায় জানানো হয়, ১৮ বছরের আগে নারী ও পুরুষের মধ্যে শারীরিক যে পরিবর্তনগুলো ঘটে তা নিয়ে ভুক্তভোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় অনেকেই আবার সমবয়সীদের কাছে পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু সমবয়সীদের এই সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট জ্ঞান না থাকায় তারাও উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারে না। ফলে কিশোর কিশোরীরা বিপদের সম্মুখীন হয়।  

সভা চলাকালে এফপিএবি রাজশাহী জেলা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শীল বলেন, এসেট প্রকল্পের আওতায় এ বিষয়ে সচেতন করতে এফপিএবি’র ট্রেনাররা প্রথমে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। পরে তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরও যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করছেন। এতে তাদের মধ্যেকার জড়তা কাটছে। তারা প্রশ্ন করতে শিখছে। জানতে চাচ্ছে কীভাবে এ সময়টা সুস্থ এবং নিরাপদ থাকা যায়। পূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তারা নিজেরা আর বিভ্রান্তিতে জড়াচ্ছে না।  

এফপিএবি রাজশাহী জেলা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী জেলা কর্মকর্তা এসএম মিজানুর রহমান, কো-অর্ডিনেটর (অর্থ) আকতারুজ্জামান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬

এসএস/আরএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।