ঢাকা, সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

চেতনা ফিরে পেয়েই মাকে খুঁজছে আগমনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:১৩, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
চেতনা ফিরে পেয়েই মাকে খুঁজছে আগমনী

ঢাকা: চেতনা ফিরে পেয়েই মা মা বলে কান্নাকাটি করছে আগমনী (৪)। চাচী গুলেনুর বেগম তাকে কোলে নিয়ে শান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।

 

রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এমন চিত্রের দেখা মিললো।

চাচী গুলেনুর বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রোববার ভোরে উত্তর বাড্ডার একটি বাসার দরজা ভেঙ্গে মা শাহানা বেগম ও তার দুই শিশু সন্তান আগমনী (৪) ও আরিয়াকে (২) অচেতন অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। ভোরেই মারা যায় আরিয়া। মা শাহিনা ঢামেকের নতুন ভবনে চিকিৎসাধীন আছেন।  

‘সন্ধ্যায় আগমনীর জ্ঞান ফিরলে সে কান্নাকাটি করছে। কিন্তু তাকে থামানোই যাচ্ছে না। ’

তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার গোয়াল গ্রামে।

শিশু ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার ডা. সোরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আরিয়ার বিষক্রিয়া জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত আগমনী সারাদিন অচেতন থাকার পর সন্ধ্যায় জ্ঞান ফিরেছে। ২৪ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

শাহানার স্বামী আমজাদ হোসেনের বড় ভাই নুর ইসলাম জানান, ২০০১ সালে পারিবারিকভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে শাহানারর বিয়ে হয়। কোনো দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার কথা তারা শোনেন নি। বিষয়টি শুনে তারাও হতবাক হয়ে গেছেন।

বাড্ডা থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, শাহানার স্বামী আমজাদ হোসেন একটি অটোরাইস মিলে মার্কেটিং সেকশনে চাকরি করেন। হয়তো দাম্পত্য কলহের জেরে শাহানা নিজে বিষ খেয়ে সন্তানদের মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এই ঘটনার পর থেকে আমজাদকে পাওয়া যাচ্ছেনা।

এদিকে আরিয়ার ময়নাতদন্ত করেন ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের ডা. প্রদীদ বিশ্বাস।  

তিনি জানান, আরিয়ার ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে।  পরীক্ষার রির্পোট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
আরএইচএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।