ঢাকা: খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতা ১৫৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
‘খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিতরণ নীতিমালা-২০১৬’ খসড়ায় খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে রোববার (২৩ অক্টোবর) বাংলানিউজকে বলেন, “বিশেষ শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবটি উঠছে সোমবার। এর আগে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভা থেকে ফেরৎ পাঠানো হয়েছিলো। মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবারও পাঠানো হয়েছে। এর আগে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাও বাড়ানো হয়”।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সাত বীরশ্রেষ্ঠ ভাতা ১২ হাজার থেকে ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
একইভাবে বীর উত্তমদের ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, বীর বিক্রমদের ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার এবং বীর প্রতীকদের ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে ওই শ্রেণিতে ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে মন্ত্রণালয়।
আহত মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণি অনুযায়ী ভাতা বাড়ানো হয়েছে। ‘এ’ শ্রেণির ২০জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান ভাতা ৩৪ হাজার থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৪৫ হাজার, ‘বি’ শ্রেণির ১৪৬ জনের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ হাজার, ‘সি’ শ্রেণির ২ হাজার ৩২৯ জনের ভাতা ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৬ হাজার থেকে ৩০ হাজার এবং ‘ডি’ শ্রেণির ২ হাজার ৫৩২ জনের ভাতা ১৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এছাড়া আড়াই হাজার শহীদ পরিবারের জন্য শতভাগ ভাতা বাড়িয়ে ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার, ৩০৩টি মারা যাওয়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার, সাত বীর শ্রেষ্ঠ পরিবারের ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার প্রস্তাব করা হয়।
খসড়া নীতিমালায় আরো বলা হয়, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তাদের মা–বাবা, স্বামী–স্ত্রী বা ছেলে–মেয়ে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার জন্য নির্ধারিত সম্মানী পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই নীতিমালায় ৮ হাজার ৫১৪ জন অন্তর্ভুক্ত হবেন। যাদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্য রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
জেপি/এটি