ঢাকা, রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

মাদারীপুরের হ্যাপির মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ হাইকোর্টের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১০, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
মাদারীপুরের হ্যাপির মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা: ‘ধর্ষণের’ পর হত্যার শিকার মাদারীপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হ্যাপি আক্তারের মরদেহ উত্তোলন করে ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে হ্যাপির মায়ের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।



আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাসুদ হোসাইন দোলন। সঙ্গে ছিলেন অদিতি রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।

গত ১৩ আগস্ট স্কুলে যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মোস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হ্যাপি ও সুমাইয়া।
এরপর বিকালে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কয়েকজন যুবক।

প্রাথমিক চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হ্যাপি মারা গেলে ওই যুবকরা পালিয়ে যান। পরে মারা যায় সুমাইয়াও।

এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার বাবা ১৫ আগস্ট ও হ্যাপির মা একমাস পর ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় করা ময়না তদন্তে ধর্ষণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই ধর্ষণের বিষয়ে তদন্তে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তারা। কিন্তু বিচারিক আদালত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের মামলায় তদন্ত না করে সুমাইয়ার বাবার করা হত্যা মামলার তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।

কিন্তু ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, তাদেরকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।

এরপর হ্যাপির মা মুক্তা বেগম গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন।
রোববার এ আবেদনের ওপর আদেশ দিয়ে হ্যাপির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।