নবনিযুক্ত অনাবাসিক হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ সেশেলসের স্টেট হাউসে রাষ্ট্রপতি ওয়েভেল রামকালাওয়ানের কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশের পর সেশেলসের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনারকে তার অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
সেলেশসের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে তার শুভকামনা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সেশেলস সর্বদা বাংলাদেশ ও সেশেলসের মধ্যকার সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
সেশেলসের রাষ্ট্রপতি ঢাকার একটি স্কুল ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
সেশেলসের রাষ্ট্রপতি সেশেলসে কর্মরত বিভিন্ন খাতে বিশেষত: নির্মাণ, কৃষি ও পর্যটন খাতে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া তিনি দুদেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমঝোতা স্মারক/চুক্তিসমূহ চূড়ান্ত করে স্বাক্ষরের জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং সিশেলসে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।
হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ প্রজাতন্ত্রী সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি সেশেলস সরকার কর্তৃক তার প্রতি প্রসারিত উষ্ণ শুভেচ্ছা ও আন্তরিক সহযোগিতার জন্য সেশেলস সরকারকে তার কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি তার মেয়াদকালে দুদেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ়করণে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে নতুন পর্যায়ে উন্নীতকরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ড. আহাদ সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি সেশেলসে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ায় সেশেলস সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উভয় পক্ষ তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, উভয় সরকার দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার নতুন নতুন পথ সন্ধানের জন্য ভবিষ্যতে কাজ করে যাবে।
হাইকমিশনার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট, চামড়া এবং অন্যান্য শিল্প খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করেন।
হাইকমিশনার ড. আহাদ বলেন, বাংলাদেশ তার সুনীল অর্থনীতি খাতের উন্নয়নে আগ্রহী। এক্ষেত্রে সেশেলস বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সহযোগিতা করতে পারে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান হাইকমিশনার ড. আহাদ।
উক্ত পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে সেশেলসের স্টেট হাউস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. জকি আহাদ গত ৯ জুন বাংলাদেশ হাইকমিশন, পোর্ট লুইসে যোগদান করেন।
টিআর/আরবি