ঢাকা, শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাই যোদ্ধাদের চেষ্টা ছিল শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মত: আসিফ মাহমুদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৫, জুলাই ১৮, ২০২৫
স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাই যোদ্ধাদের চেষ্টা ছিল শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মত: আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যারা জীবন দিয়ে স্বৈরাচার হটিয়েছেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন জাতি তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি বলেন, ১৭ বছরের স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল একটি শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মতো।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস" উপলক্ষে প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে মানুষ এতটাই উদ্বুদ্ধ ছিল যে, অনেকেই ক্ষুধার্ত অবস্থায় এবং পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েও এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। যারা লড়েছেন, তাদের কাছে মরণাস্ত্র তো দূরের কথা, প্রাথমিক প্রশিক্ষণও ছিল না। তবু দেশপ্রেম আর প্রতিশ্রুতির শক্তিতে তারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের এই দেশগড়ার সংগ্রামটিও এক দীর্ঘ ম্যারাথনের মতো। যত কষ্টই হোক, যত সময়ই লাগুক—এই লড়াই আমাদের শেষ করতেই হবে।

জুলাই শহীদ-আহত-নিহদের কল্যানে তহবিল সংগ্রহ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণ করার জায়গা থেকে এই ম্যারাথনের আয়োজন। জুলাই স্মরণে সরকারের অনেকগুলো আয়োজনের মধ্যে এটি একটি। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য আবারও ম্যারাথনের আয়োজন করা হবে। সেখানে আরও বেশি সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো। যাতে কেউ বাদ না পড়ে।

সকাল ৭টায় উপদেষ্টা প্রতীকি ম্যারাথন উদ্বোধন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা ম্যারাথনে অংশ নেন। ম্যারাথন আইসিসি থেকে গণভবন, আসাদ গেট, মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ, ফার্মগেট খামার বাড়ি মোড় ও বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশন প্রদক্ষিণ শেষে বিআইসিসিআইয়ে শেষ হয়। প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে ৭০০ নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ।

 '৩৬ জুলাই' স্মরণে ১৮ জন নারী ও ১৮ পুরুষ মোট ৩৬ অংশগ্রহণকারীকে ক্রেস্ট ও  সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা দেওয়া হয় বিজয়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপকে।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্সশনের প্রধান নির্বাহী কামাল আকবর প্রমুখ উপস্থিত।

জেডএ/এমএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।