ঢাকা: রাজধানীর শ্যামলীতে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও চাপাতি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-আল আমিন ও আসলাম। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা তিনজন। এর আগে কবির নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, শামলীতে এক যুবককে চাপাতি দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ডিবি মোট তিনজকে গ্রেপ্তার করলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে শ্যামলী ২ নম্বর রোডে অবস্থিত কাজী অফিসের দিক থেকে ছাতা হাতে এক ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এসময় তার পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে আসতে দেখা যায় তিনজনকে। ভুক্তভোগীর কাছে এসে মোটরসাইকেলের পেছনের ব্যক্তি নেমে পড়েন।
বাকি দুজন মোটরসাইকেলটি ইউটার্ন নিয়ে ভুক্তভোগীর সামনে এসে অবস্থান নেন। এসময় চালকের পিছে থাকা অন্য ছিনতাইকারীও নেমে পড়েন। অভিযুক্ত তিন ছিনতাইকারীর মধ্যে দুজনকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এবং একজনকে খালি গায়ে দেখা গেছে।
পরে দুই ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীর কাছে থাকা টাকাসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেন। এসময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখানো হয় এবং তার জামা ও জুতা খুলে নিতেও দেখা গেছে। ছিনতাই শেষে মোটরসাইকেলে চেপে তিন ছিনতাইকারীকে আবারও কাজী অফিসের দিকে পালিয়ে যান।
মামলায় ভুক্তভোগী শিমিয়ন ত্রিপুরা উল্লেখ করেন, তিনি ধামরাইয়ে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, থাকেন শ্যামলীতে। ওইদিন সকাল ছয়টায় সাভারের উদ্দেশে তিনি শ্যামলীর বাসা থেকে রওনা হন। তিনি যখন শ্যামলীর মেরি গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পূর্ব পাশে আসেন, তখন পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে থামে। মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসা তিনজন চাপাতির ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইলফোন, মানিব্যাগ ও ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
এমএমআই/জেএইচ