ঢাকা, রবিবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

শুক্র-শনিবারেও আমদানিকৃত মালামাল খালাস হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৪, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
শুক্র-শনিবারেও আমদানিকৃত মালামাল খালাস হবে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক খান বাবলু

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল দ্রুত খালাসের জন্য শুক্রবার ও শনিবারেও কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক খান বাবলু। তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও আমদানিকৃত মালামাল খালাসের কার্যক্রম চলবে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এনামুল হক খান বাবলু বলেন, গতকালকের আগুনে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। সাধারণত উচ্চমূল্যের ও অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসম্ভার আকাশপথে আনা হয়। এই ধরনের বহু গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আগুনে পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে পোশাক তৈরির কাঁচামাল ও অসংখ্য স্যাম্পল ছিল। এসব স্যাম্পলই নতুন রপ্তানি অর্ডারের পথ উন্মুক্ত করে। সেগুলো পুড়ে যাওয়া মানে নতুন বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ হারানো। আমরা এখন ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছি। এজন্য পোশাক কারখানাগুলোর উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট ফরমে তথ্য পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএর এই নেতা বলেন, আমাদের সদস্যদের প্রায় সবাই আকাশপথে পণ্য সংগ্রহ করেন। এমন উদ্যোক্তার সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০ জনের মতো। এই বিপুল ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, যেন সার্বিক সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তাও দিতে হবে। এখন শুষ্ক মৌসুম চলছে— তাই উদ্যোক্তাদের আগুনের ঝুঁকি সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা প্রায় সব পণ্যই পুড়ে গেছে। ভেতরে গিয়ে আমরা বুঝতে পারলাম ঘটনাটি কতটা ভয়াবহ। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত ১৫ দিন থেকে ১ মাস সময় লাগতে পারে।

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যেহেতু বর্তমানে আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, তাই এখন থেকে নতুন আমদানি পণ্য নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালে রাখা হবে। নতুন আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত ছাড় করার জন্যও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। সাধারণত কোনো পণ্য ছাড় করতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে— এখন থেকে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা বিজিএমইএ সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছেন, যেন পণ্য আমদানির সঙ্গে সঙ্গে খালাসের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এজন্য শুক্র ও শনিবারেও আমদানিকৃত মালামাল খালাসের কাজ চলবে, সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। এ সময় এইচএস কোড বা ডকুমেন্টেশন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।

আরকেআর/জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।