চট্টগ্রাম: ভ্যাট অব্যাহতি দিলেই বেজা থেকে প্লট বুঝে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ নেতারা।
তারা বলেছেন, দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকে টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারকে শিল্পবান্ধব নীতিমালা আরও বাস্তবায়নযোগ্য করতে হবে।
ফলে শতভাগ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফের বিধান বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তারা। বিজিএমইএ চায় বেজা থেকে প্লট বরাদ্দে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হোক। সরকার যদি ভ্যাট অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনা করে তাহলে নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে দ্রুত শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রথম সভায় বিজিএমইএ নেতারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা মীরসরাই অর্থনৈতিক জোনের বিজিএমইএ গার্মেন্টস ভিলেজকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। এই অর্থনৈতিক জোনে বিজিএমইএর ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২১ একর ভূমি লিজ দেওয়া হয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে রাস্তার কাজ, ড্রেনের কাজ, বক্স কালভার্ট, বৈদ্যুতিক কাজ ইত্যাদি সহ প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজের সার্বিক অগ্রগতি হলেও কিছু প্রস্তুতি জটিলতার কারণে এখনো প্লট বুঝে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিজিএমইএ নেতারা লো-কস্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ সুবিধা, বিজিএমইএর সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক প্লট হস্তান্তরের সুবিধা এবং চট্টগ্রামে বিদ্যমান ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স উপযোগী বিভিন্ন উপযুক্ত স্থানে ছোট ছোট শিল্প জোনে স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মহসিন আহমেদ। বক্তব্য দেন বিজিএমইএর পরিচালক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিজিএমইএর পরিচালক মো. সাইফ উল্লাহ মনসুর, রাকিবুল আলম চৌধুরী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাকিম উদ্দিন, কমিটির সদস্য শাকের আহমেদ, আহমেদ নুর ফয়সাল, মোহাম্মদ কামার উদ্দিন, বিজয় শেখর দাশ প্রমুখ।
এআর/পিডি/টিসি