ঢাকা, রবিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না: ডা. শাহাদাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১১, আগস্ট ২৩, ২০২৫
খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না: ডা. শাহাদাত অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে যখন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে জামায়াত ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছিল, তখনই আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন, এরশাদের সাথে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানে খালেদা জিয়া এ ঘোষণা দেন।

তখন শেখ হাসিনাও একই কথা বললেও ঢাকায় গিয়ে তিনি এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেন। অথচ বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোষ করেননি।
খালেদা জিয়ার বাদ দিয়ে দেশের কোনো ইতিহাস রচিত হবে না।

শনিবার (২৩ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে ড‍্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় চট্টগ্রাম শাখা ড্যাবের পক্ষ থেকে ভোটার এবং চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা ও জামায়াতে ইসলাম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণেই এরশাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হয়েছিল জানিয়ে বিএনপি ডা.শাহাদাত বলেন, অন্যথায় এরশাদের পতন ১৯৮৬ সালেই হতো। ১৯৮৮ সালেও আন্দোলনের মুখে এরশাদ নির্বাচনের ঘোষণা দিলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের কারণে। এর পরপরই আন্দোলন জোড়দার হয়। সেসময় আমি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম।  বুয়েট, চুয়েট, ঢাকা মেডিক্যাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ব্রিলিয়ান্ট ইনস্টিটিউশনে ছাত্রদলের জয়জয়কার দেখা গেছে। এমনকি ডাকসু নির্বাচনে আমান-খোকনের প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।

১/১১ এর সময়কার প্রসঙ্গ টেনে ডা.শাহাদাত বলেন, মাইনাস টু ফর্মূলা বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনাকে বিদেশে পাঠানো হয়। সে সময় মনের আনন্দে হাতে মেহেদি নিয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে বলা হলেও তিনি দেশ ত্যাগ করেননি। তিনি বলেছিলেন ‘যদি বাঁচতে হয় এ দেশেই বাঁচব, মরতে হলে এ দেশেই মরব। শেখ হাসিনা কুকর্মের বৈধতা দিতে রাজি হওয়ায় ২০০৮ সালে তাঁকে ক্ষমতায় বসানো হয়। আর খালেদা জিয়া বৈধতা দিতে রাজি হননি। এজন্যই ১৬ বছর ধরে নির্বিচারে হত্যা, গুম, মামলা হামলা চলছে।

মানুষের অধিকার আদায়ে কথা বলার কারণে খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে জানিয়ে বিএনপি নেতা ডা.শাহাদাত বলেন, মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, খাবার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে, গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। আল্লাহ যাকে সম্মান দিতে চান তাকেই সম্মান দেন। রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিপরীতে খালেদা জিয়া রানীর মতো বিদেশে গেছেন, রানীর মতো সম্মান নিয়ে দেশে ফিরেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দেশনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করি।

ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডা. এস এম সারোয়ার আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. রিফাত কামাল রনির পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন ড‍্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন, উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আলীম, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জসীম উদ্দীন, ডা. এম এ মান্নান, অধ‍্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক চোধুরী, অধ‍্যাপক ডা. মো. আব্দুল মোত্তালিব, অধ্যাপক ডা. ইকবাল হোসেন, ডা. সুকান্ত ভট্টাচার্য, ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, ডা. মো. ইব্রাহিম চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা ড‍্যাবের সভাপতি ডা. নীলু কুমার তন্চংগ‍্যা, জেলা ড‍্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ড্যাব নেতা ডা. মো. টিপু সুলতান, ডা. জীবক চাকমা, অধ্যাপক ডা. অজয় দেব ও ডা. আনিসুল হোসেন বাবুল প্রমুখ।

এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।