ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কনটেইনার জটের শঙ্কা চট্টগ্রাম বন্দরে        

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৪৫, আগস্ট ১৮, ২০২৫
কনটেইনার জটের শঙ্কা চট্টগ্রাম বন্দরে         ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে কনটেইনার জটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন যে হারে কনটেইনার জমছে বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হ্যান্ডলিং, ডেলিভারির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও টার্মিনালে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার রাখার সুযোগ আছে ৫৩ হাজার ৫১৮টি। এর বিপরীতে সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল আটটায় বন্দরে কনটেইনার জমেছিল ৪৮ হাজার ৪৯৪টি।

আগের দিন রোববার একই সময়ে কনটেইনার ছিল ৪৯ হাজার ১৩১টি।  

সোমবার বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২টি। আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার নেমেছে ৫ হাজার ৩৭৬টি। জাহাজে তোলা হয়েছে ৫ হাজার ৬২১টি। মোট হ্যান্ডলিং ১০ হাজার ৯৯৭টি।  

জানতে চাইলে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের ডেলিভারি ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।   বছরের পর বছর ধরে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্র ও শনিবার বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি কম হচ্ছে। এ দুই দিন যদি অন্যান্য দিনের মতো ডেলিভারি হয় তাহলে সংকট হবে না। আমরা আশাকরি, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বন্দরের কনটেইনার স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খালি কনটেইনার জমে যাওয়ায় বন্দরে কনটেইনারের সংখ্যা বেড়েছে। এর বাইরে ১০ হাজারের বেশি নিলামযোগ্য কনটেইনার এবং প্রায় ৩০০ ধ্বংসযোগ্য পণ্যেভর্তি কনটেইনার বন্দরের জায়গা দখল করে আছে। এগুলো রিমোভ হলে বন্দরের ২০ শতাংশ জায়গা খালি হতো যাতে নতুন করে কনটেইনার রাখা যেত। এর বাইরে বিভিন্ন অফডক বা ডিপোতেও কনটেইনারের জায়গা সংকুলানের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

একজন বন্দর ব্যবহারকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর কনটেইনার জট কমাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের সুযোগ আছে অস্থায়ীভাবে জিসিবি, পিসিটিসহ বিভিন্ন ইয়ার্ড, টার্মিনালে বেশি কনটেইনার রাখার। সাধারণত একটির ওপর আরও দুইটি পর্যন্ত কনটেইনার রাখা হয়। এটি চার-পাঁচটিতেও উত্তীর্ণ করা সম্ভব। জরুরি প্রয়োজনে লালদিয়া, বে টার্মিনাল এলাকায়ও মেঝে পাকা করে জরুরি ভিত্তিতে কনটেইনার রাখা যায়। তবে দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি ও সমন্বিত উদ্যোগ নিলে দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।  

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর থেকে প্রচুর কনটেইনার অফডকে পাঠানো হচ্ছে। আশাকরি, কনটেইনার জটের মধ্য দিয়ে সংকট হবে না। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।