চট্টগ্রাম: আরাফাত রহমান কোকো সফল ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকোর অবদান ছিল অপরিসীম। আজ বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকো কাজ করে গেছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাদে মাগরিব নগরের শাহ আমানত (র.) মাজার সংলগ্ন মসজিদে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর কোকো স্মৃতি সংসদ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচারবিমুখ ও নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন। কোকো রাজনীতির সাথে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, মঈনউদ্দীন ফখরুদ্দীনের সরকার কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে শারিরিক ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড নির্যাতন করে তাকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মামলার জালে ফরমায়েশি সাজার রায়ে নানাবিধ অত্যাচারে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দোয়া মাহফিলে অংশ নেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. ইসমাইল বালি, মহানগর বিএনপি নেতা নুরুল আকতার, জসিম উদ্দিন মিন্টু, ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বক্সিরহাট ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এসএম মফিজউল্লাহ, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, কোকো স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সি. যুগ্ম সম্পাদক আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, কোকো স্মৃতি সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক এন মোহাম্মদ রিমন প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। মোনাজাতে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
পরে মাজার সংলগ্ন এতিমখানায় দুস্থ অসহায় ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এআর/টিসি