ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রলীগ ছাড়া বাতিল করতে হবে সব নিয়োগ, রেজিস্ট্রারকে শাসালেন নেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:২১, মার্চ ২০, ২০২৪
ছাত্রলীগ ছাড়া বাতিল করতে হবে সব নিয়োগ, রেজিস্ট্রারকে শাসালেন নেতারা ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার উপাচার্যের পদ ছাড়তে না ছাড়তেই চাকরির নিয়োগ নিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ।

বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদকে তার কক্ষে ঢুকে শাসান ছাত্রলীগের নেতারা।

এ সময় ছাত্রলীগের এক কর্মী রেজিস্ট্রারের দিকে তেড়ে যান।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এমন একটি ভিডিও।

এতে দেখা যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বাকবিতণ্ডায় জড়ান রেজিস্ট্রারের সঙ্গে।

ভিডিওতে দেখা হয়, শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের কর্মী ওয়াহিদুল ইসলাম রেজিস্ট্রার নুর আহমদের দিকে তেড়ে যান এবং আঙুল উঁচিয়ে রেজিস্ট্রারকে বলছেন, ছাত্রলীগ কর্মীদের বাইরে সব নিয়োগ ক্যান্সেল করতে হবে। এখনো পিছনে বসে আছে ও (সদ্য নিয়োগ পাওয়া এক কর্মচারী)। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম।  

এ সময় সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ তাকে থামানোর চেষ্টা করেন।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, টেবিল চাপড়িয়ে একই কথা বলছেন একই গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত।  

তিনি রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, ছাত্রলীগের বাইরের নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলারে নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। ছাত্রলীগের বাইরে যেগুলা, ওইগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলাপাইনের চাকরি লওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার! ছাত্রলীগের বাইরে সব ক্যান্সেল।  

ওই সময় রেজিস্ট্রারের রুমে শাখা ছাত্রলীগের একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল, ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) আল-আমিন শান্ত, রায়হান ও আশিব তানিম হট্টগোল শুরু করেন।

ঘটনার সময় চবির সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুমন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী ওই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তারাও ছাত্রলীগের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করতে বলেন।

সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর বড়ুয়াও এ সময় রেজিস্ট্রারের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিস্ট্রার নাজেমুল আলম মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, তারা নিয়োগের বিষয় নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে ছিল। আমরা তাদের বুঝিয়েছি। পরে নবনিযুক্ত উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। উপাচার্য বিষয়টি শুনে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।