ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সাক্ষী হতে যাচ্ছে। পুরো আসরটি পরিচালনা ও তদারকি করবেন শুধুমাত্র নারী আম্পায়ার ও রেফারিরা।
মোট ১৮ জন ম্যাচ অফিসিয়াল—এর মধ্যে ১৪ জন আম্পায়ার ও ৪ জন রেফারি—নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩১ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে, যা শুরু হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে এটাই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গভাবে অল-উইমেন প্যানেলের দায়িত্বপ্রাপ্তি।
এর আগে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসেও আংশিকভাবে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল।
অভিজ্ঞ আম্পায়ারদের মধ্যে ক্লেয়ার পোলসাক, জ্যাকুলিন উইলিয়ামস ও সু রেডফার্ন থাকছেন তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপে। এছাড়া ২০২২ সালের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করা লরেন এজেনব্যাগ ও কিম কটনও এবার ফিরছেন। এলোইজ শেরিডানও থাকছেন অফিসিয়াল প্যানেলে। তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা খান জেসিও।
রেফারিদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের জি এস লক্ষ্মী, পাশাপাশি ট্রুডি অ্যান্ডারসন, শান্দ্রে ফ্রিটজ ও মিশেল পেরেইরা।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এই উদ্যোগকে বলেছেন ‘নারী ক্রিকেটের যাত্রায় এক সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত। ’ তিনি বলেন, ‘এটি শুধু একটি মাইলফলক নয়, বরং ক্রিকেটে জেন্ডার সমতায় আইসিসির অঙ্গীকারের শক্তিশালী প্রতিফলন। বিশ্বকাপ মঞ্চে শুধু নারী অফিসিয়ালদের অন্তর্ভুক্তি দৃশ্যমানতা, সুযোগ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার মতো রোল মডেল তৈরির এক বড় পদক্ষেপ। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রতীকী নয়। এটি দেখাবে, ক্রিকেটে নেতৃত্ব ও প্রভাবের কোনো লিঙ্গভেদ নেই। ’
এমএইচএম