যশোর: ট্রাক চোর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাদুস আলম নামে যশোরের পুরাতন লোহা ও মোটরপার্টস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির একজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাসুদ আলম সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
যশোর ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের একটি ট্রাক চুরি মামলার সূত্র ধরে শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে মাদুস আলমকে যশোর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের সাথে এই গ্রেপ্তার অভিযানে কাজ করে ঢাকা মহানগর ডিবি দক্ষিণ বিভাগের একটি টিম। সন্ধ্যায় শুরু হয়ে অভিযান চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এসময় যশোরের বকচর ও রাজারহাট এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ঢাকায় চুরি হওয়া একটি কার্গো ড্রাম ট্রামের বডি ও সামনের অংশ।
ডিবি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাসুদ আলম ট্রাক চোর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তার সাথে আরো কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যশোরে শক্তিশালী চোরাই ট্রাক সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা জেলা ছাড়াও দেশের বিভন্ন স্থান থেকে ট্রাক চুরি বা ছিনতাই করে যশোরের বকচর ও আশপাশের এলাকায় তোলে। পরবর্তীতে সেগুলো পার্টস আলাদা করে বিক্রি করে দেয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই চক্র সবসময়ই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া পেয়ে থাকে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে ছাত্রলীগের (পরবর্তীতে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত) একজন নেতা চোরাই ট্রাক সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে ভূমিকা পালন করতেন। সে কারণে পুলিশ বা প্রশাসন থেকে সবসময়ই চক্রের সদস্যরা আড়ালে থেকে গেছে।
স্থানীয় লোহা ও পুরাতন মোটরপার্টস ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, চোরাই ট্রাক সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদেরকেও দুর্নামের মুখোমুখি হতে হয়।
এসএইচ