সিলেট: সিলেটের বিশ্বনাথে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলা সদরের বাসিয়া সেতু ও থানা ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা ইলিয়াসপত্মী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ূন কবিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলের আঘাতে যুবদল নেতা আব্দুর রহমান, ছাত্রদল নেতা মিনহাজসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে যায়। সংঘর্ষের সময় থানার প্রধান ফটকও বন্ধ রাখা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশসহ থানার পুলিশ বেরিয়ে এসে দুইপক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, সিলেট-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই নেতা-নেত্রীর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এদিন দুপুর থেকেই উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। এ অবস্থায় বিকেলে হুমায়ূন কবির উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে একটি অনুষ্ঠানে যান। দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনাকে প্রার্থী চেয়ে পৌরশহরে মিছিল করে বিশ্বনাথ বিএনপি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হুমায়ুন কবির ফেরার পথে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মীরা স্লোগান দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র আরও জানায়, লুনা সমর্থকরা বিশ্বনাথ নতুন বাজারে ও হুমায়ূন কবির সমর্থকরা পুরান বাজারে অবস্থান নেন। সাড়ে ৯টায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে যুবদল নেতা আব্দুর রহমান, ছাত্রদল নেতা মিনহাজ আহত হলে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের আরও অনেকেই আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পৌর শহরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক ইস্যুতে দুইপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে টিয়ারশেল কিংবা শট গানের গুলি খরচ করা লাগেনি।
এনইউ/এইচএ/