ঢাকা, রবিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

কলেজের ছাত্রদের থেকেই ছাত্র নেতৃত্ব আসবে: এ্যানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৯, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
কলেজের ছাত্রদের থেকেই ছাত্র নেতৃত্ব আসবে: এ্যানি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

যারা কলেজের ছাত্র তাদের থেকেই ছাত্র নেতৃত্ব আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও দলটির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। এর বাইরে ছাত্ররা অন্য কোনো নেতৃত্ব গ্রহণ করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ্যানি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি। কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ্যানি বলেন, যারা কলেজের ছাত্র তাদের থেকেই ছাত্র নেতৃত্ব আসবে। ছাত্রের বন্ধু ছাত্র হয়, ছাত্রীদের বন্ধু ছাত্রী হয়। যদি এর বাইরে কোনো নেতৃত্ব আমরা চাপিয়ে দেই, জেনারেশন গ্রহণ করবে না। তাহলে জেনারেশন যাতে গ্রহণ করে স্বাভাবিক কারণে আমরা যারা দায়িত্বশীল নেতৃত্বে আছি, সে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েই তাদের প্রজন্মের, তাদের বন্ধু, তাদের বান্ধবী, তাদের দিয়েই আমাদের ছাত্র সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। এটা আমরা করবো। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেগুলার স্টুডেন্টরা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেবে।

এ্যানি বলেন, বাংলাদেশে আমরা ইয়াং জেনারেশন যদি নেতৃত্বে আসি, বাংলাদেশটাকে চেঞ্জ করে ফেলবো। জুলাই আন্দোলনে সেটা তারা প্রমাণ করেছে। আমরা ১৭ বছর আন্দোলন, সংগ্রাম, লড়াই করেছি। আমি অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছি, অত্যাচারিত হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে এ জেনারেশন যখন অভিভাবকের হাত ধরে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। না হলে এখন পর্যন্ত থাকতাম কিনা- এটা একটা প্রশ্ন থেকে যায়। তাহলে সবসময় আমরা ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা, এদের চিন্তা, সেন্টিমেন্টকে বেশি ধারণ করবো।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান গত এক বছর যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে জেনারেশনের কথা বলেছেন। দেশ গড়ার কথা বলতেছেন। রাজনীতিতে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুণগত পরিবর্তন নিয়ে তিনি সবার পাশে দাঁড়াতে চান। জিয়াউর রহমান জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। তার হিস্ট্রি যদি দেখেন, জিয়াউর রহমান, তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া এদের নেতৃত্বের মধ্যে কোনো দাগ ছিল না। এদের নেতৃত্বের মধ্যে দেশের কথা, প্রজন্মের কথা, আমাদের বাংলাদেশের কথা বার বার উঠে এসেছে।  

মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে এ্যানি বলেন, এ সমাজ, এ প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা প্রত্যেক অভিভাবক, নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, সমাজের দায়িত্ব। কিছু সংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী আমাদের এলাকাটাকে ঘ্রাস করে নিচ্ছে। এখান থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আমাদের খুব বেশি সজাগ থাকতে হবে। এটা বিপ্লব, এটা আন্দোলন, এটা সংগ্রাম, এ সংগ্রামে আমাদের এগিয়ে থাকতে হবে।  

যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না মন্তব্য করে এ্যানি বলেন, মাদকের এজেন্ট নিয়ে মাদক ব্যবসা করে, এ মাদক সাম্রাজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারবে না। এরা সমাজের দুস্কৃতকারী। এরা যদি কোনো দলের নাম ব্যবহার করে, কোনো তদবির প্রয়োজন হবে না, সঙ্গে সঙ্গে এদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে। মাদকের নামে যদি কেউ আমাদের এ সমাজটাকে নষ্ট করার জন্য দলের নাম ব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদের কেউ যদি তদবিরের মাধ্যমে রাজনৈতিক পদ পদবী পেয়েও যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাফুফে সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি এম বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম ইউসুফ ভুঁইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।