মৌলভীবাজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মৌলভীবাজার-কাগাবলা ও মৌলভীবাজার-শমশেরগঞ্জ সড়কে থমকে গেছে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বেশকিছু মানুষ চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারী ট্রাক ও কার্গোভ্যান চলাচল করায় অপেক্ষাকৃত কম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙেচুরে জনসাধারণের যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে কাগাবলা ও শমশেরগঞ্জ বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। গ্রামীণ জনপদের এই দুই রাস্তা ব্যবহার করে সদর উপজেলার আমতৈল, কাগাবলা, নাজিরাবাদ ইউনিয়নের একাংশের মানুষ ও নিকটবর্তী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর, ভুনবী ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর এবং পানিউমদা ইউনিয়নের মানুষ মৌলভীবাজারে যাতায়াত করে থাকেন।
রাস্তাগুলোর দীঘিরপাড়, অলহা, সূর্যপাশা, আথানগিরি, ধনদাশসহ বিভিন্ন এলাকা খানা-খন্দে ভরা। ফলে ছোটবড় যানবাহন যাতায়াতে সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
অন্যদিকে খানা-খন্দে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। রাস্তার বেহাল দশার কারণে আধা ঘণ্টার রাস্তা এক ঘণ্টায় পাড়ি দিতে হয় বলে জানান প্রাণ ফুডের টেম্পু চালক মিলন মিয়া।
এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পল্লি চিকিৎসক জগদীশ চন্দ্র দে জানান, বছরখানেক ধরে রাস্তার এই বেহাল দশা। সিরিয়াস রোগী নিয়ে যাতায়াতে ভুক্তভোগীরা বেকায়দায় পড়েন। বিশেষ করে, ডেলিভারি রোগী হলে কষ্টের সীমা থাকে না।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ওই এলাকার জীবন দে পলাশ বলেন, রাত-দিন ইট বহনকারী ভারী যানবাহন ও কাভার্ডভ্যান চলাচল করায় রাস্তার এ হাল হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
এলজিইডি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসাইন বলেন, গত জুলাই মাসে ভেঙে পড়া রাস্তা দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায় সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে।
বিবিবি/আরএ