ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

শেবাচিমে হামলায় একাধিক আন্দোলনকারী আহত-নিখোঁজের দাবি রনির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০৯, আগস্ট ১৪, ২০২৫
শেবাচিমে হামলায় একাধিক আন্দোলনকারী আহত-নিখোঁজের দাবি রনির

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) এবং সারাদেশের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে চলমান অনশন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন রনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রনি জানান, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সফরের সময় দেওয়া বক্তব্যে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উসকানি ছিল। না হলে আজকের এই হামলা হতো না, মন্তব্য করে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান। তবে একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন—“কে আর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে?”

তিনি দাবি করেন, হামলায় একাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন নিখোঁজ আছেন। শিক্ষার্থীরা আহত হলেও তাদের অনশন কেউ ভাঙাতে পারেনি, তাই কর্মসূচি এখনো চলছে। আহত ও নিখোঁজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে, এরপর সঠিক পরিসংখ্যান জানানো হবে। নিখোঁজদের বিষয়ে তথ্য নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাব, বলেন রনি।

রনি জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার অব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে তিন দফা নিয়ে তারা প্রায় ১৮ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানিয়েছে। গত তিন দিন ধরে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও শেবাচিমের সামনে কর্মসূচি পালন করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, আজকে শান্তিপূর্ণ অনশনে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্টাফদের পোশাক পরা একটি দল মব তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং মারাত্মকভাবে আহত করে।

রনি আরও বলেন, বরিশালে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক এসে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক এবং কেউ যদি আন্দোলন করে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমরা মনে করি, তার এই উসকানিতেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি জানান, আগে তাদের দাবি ছিল তিন দফা, এখন চার দফা দাবি তোলা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি প্রধান।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী দাইয়ানের মা বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনে আমার ছেলে অনশনে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ তাদের ওপর হামলা করা হয়। আমি এই হামলার বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে বরিশালে ছাত্রজনতা গত ১৮ দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচির পাশাপাশি হাসপাতালের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালের সামনে চারজন ছাত্রজনতা অনশনে বসে আছেন।

এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।