দীর্ঘ ৯২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে আবারও শুরু হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ। প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাঙামাটির জেলে পল্লী ও জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট।
গত ১ মে থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল মাছ ধরা। এই সময় হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও পোনা বাড়ার স্বার্থে জেলেদের জাল ফেলা নিষিদ্ধ ছিল।
বিএফডিসির তথ্য মতে, এই সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
রাঙামাটি শহরের পুরান পাড়ার জেলে সজল দাশ বলেন, ‘সরকারি যে সহায়তা মেলে তা দিয়ে পরিবার চালানো কঠিন। তিন মাস খুব কষ্টে দিন গেছে। এখন আবার মাছ ধরতে পারবো- এই ভাবনাতেই আনন্দ লাগছে। ’
নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেন, ‘পানির উচ্চতা বাড়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো ঢেউ বেশি। কিছুদিন পর পানি স্থির হলে ভালো মাছ ধরা যাবে। নৌকা, জাল সব মেরামত করে ফেলেছি। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা। ’
রাঙামাটির বিএফডিসি ঘাটে কর্মব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। ড্রাম ধোয়া, বরফ ভাঙা, মাছ সংরক্ষণের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেন, এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পানি থাকায় শুরু থেকেই ভালো মাছ পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে ঘাটে মাছ আসা শুরু হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, বন্ধকালীন উপকেন্দ্রগুলোর সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছি। অন্যান্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবারও জেলেরা ভালো মাছ পাবে।
কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৬ হাজার জেলে পরিবার। বন্ধকালীন তারা আয় হারিয়ে দুঃসময় পার করলেও এখন আবার স্বপ্ন দেখছেন নতুন মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর।
আরবি