যৌতুক দিতে না পারায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে ও লাথি মেরে হত্যার দায়ে স্বামী মো. কামাল হোসেনকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৩০ জুন) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার উত্তর কাকচিড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে মো. কামাল হোসেন। আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা সিপু।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে জাহানারা বেগমের সঙ্গে কামালের বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ের জন্ম হয়। ২০০৩ সালে ফের অন্তঃসত্ত্বা হন জাহানারা। ২০০৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা জাহানারাকে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় কামাল জাহানারার তলপেটে লাথি মারেন এবং পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন, জামাই কামাল ২০০৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ফোন দিয়ে জানায়, জাহানারা খুব অসুস্থ। যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। পরদিন তাদের বাড়ি গিয়ে দেখি, মেয়ের মরদেহ বাড়ির উঠানে। আমার মেয়ের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন বাদী। তদন্তে আটজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সচেতন হলে (রায় পেতে) ২৩ বছর অতিবাহিত হতো না। বাদী এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন। তবে আসামি কামাল এখনো পলাতক।
আরএ