ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

নড়াইলে সাংবাদিককে আওয়ামী লীগ নেতার হুমকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৫, জুন ৩০, ২০২৫
নড়াইলে সাংবাদিককে আওয়ামী লীগ নেতার হুমকি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম

নড়াইল: অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করায় নড়াইলের কালিয়ায় একজন সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

রোববার (২৯ জুন) রাতে এ ঘটনায় কালিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী  সাংবাদিক বাবর আলী।

অভিযুক্ত মল্লিক মনিরুল ইসলাম কালিয়া উপজেলার বড়নাল ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাবর আলী খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি ও দৈনিক ভয়েস অব টাইগার  পত্রিকার কালিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুন রোববার দুপরে বড়নাল ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়নের বিলদুড়িয়ায় একটি রাস্তার অনিয়মের খবর সংগ্রহে যান সাংবাদিক বাবর আলী। সেখানে একটি ইটের সোলিংয়ে রাস্তায় নিম্ন মানের ইট দিয়ে কাজ করছেন ঠিকাদার, স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাস্তার কাজের ভিডিও ধারন করেন সাংবাদিক।

পরে রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক বাবর।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক ও ইউপি চেয়ারম্যানের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিপটিতে ইউপি চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি দেখে নেয়ার হুমকি দেন ও নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী বাবর আলী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সাংবাদিক বাবর আলী বলেন, আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।  

ইউপি চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘যে রাস্তার কাজ হচ্ছে সেটা আমার নিজের চলাচলের রাস্তা। ওই রাস্তার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও আমি নিজের ইট ভাটার ইট এনে অতিরিক্ত রাস্তা বানাচ্ছি। সেখানে ওই সাংবাদিক এসে আমার সাব কন্ট্রাকটরের কাছে চাঁদা চেয়েছেন’।

নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ফেসবুকে ছাড়ার কারণে আমিও তার বিরুদ্ধে নিউজ করছি। তবে গালিগালাজের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএইচ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।