ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট নেই, আছে বাড়তি ভাড়ার বিড়ম্বনা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫০, জুন ৫, ২০২৫
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট নেই, আছে বাড়তি ভাড়ার বিড়ম্বনা! ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে

মাদারীপুর: আর মাত্র একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই চাপ আরও তীব্র হয়। যদিও পুরো রুটে কোথাও যানজটের ভোগান্তি নেই। তবে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, স্থানীয় পরিবহনগুলো দ্বিগুণ বা তারও বেশি ভাড়া আদায় করছে।

জানা গেছে, বুধবার ছিল সরকারি অফিস-আদালতের শেষ কর্মদিবস। বিকেল থেকেই রাজধানী ছেড়ে যাওয়ার ধারা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় ঈদ যাত্রার মূল স্রোত। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অধিকাংশ মানুষ এই রুটেই ঘরে ফেরেন। ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল এমনকি পিকআপভ্যানে করেও ঘরে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী ছাড়ার পর ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার রাস্তায় কোথাও তেমন যানজট দেখা যায়নি। তবে পদ্মা সেতু এবং মহাসড়কের বিভিন্ন টোল প্লাজায় কিছুটা সময় দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

তবে স্বস্তির এই যাত্রায় বড় বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা থেকে শিবচর, পাঁচ্চর বা ভাঙ্গাগামী লোকাল বাসগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একাধিক লোকাল বাসের চালক জানান, ঈদের সময়ে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ঢাকার ভেতরের জ্যাম পার হয়ে মহাসড়কে ওঠার পর আর কোনো সমস্যা হয় না, নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।

বাড়তি ভাড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চালকরা জানান, তেমন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয় না। ঈদের সময় সাধারণত একটু বেশি ভাড়া নিতে হয়, কারণ ঢাকা থেকে ফেরার সময় গাড়িগুলো প্রায় ফাঁকা যায়।

মাদারীপুরের চন্দ্রা, ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইনসহ বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার পরিবহনের সুপারভাইজার বলেন, যাত্রী নামিয়ে দিয়েই আমাদের আবার ঢাকায় ফিরতে হয়। আমরা সাধারণত পথের যাত্রী তুলি না। ঢাকা থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে থাকি। যাত্রীরা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন।

তবে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। শিবচরের যাত্রী মো. সাঈদ বলেন, ‘গাড়িতে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ। ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। ঢাকা থেকে গাড়ি পেতে কষ্ট হচ্ছে। কে আগে উঠবে এই প্রতিযোগিতায় পড়তে হচ্ছে। এ সুযোগে যেমন খুশি ভাড়া নিচ্ছে পরিবহনগুলো। ’

একই অভিযোগ করেন যাত্রী রানা খান। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে শিবচর, পাঁচ্চর কিংবা ভাঙ্গা পর্যন্ত জনপ্রতি ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে বাসগুলো, যা সাধারণ ভাড়ার দ্বিগুণ। প্রতিবাদ করেও কোনো ফল হচ্ছে না। ’

এদিকে শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। ভোর থেকে বিপুল সংখ্যক যানবাহন দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকাগামী লেনেও গাড়ির চাপ রয়েছে। মহাসড়কে পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করছে, যাতে কোথাও যানজট বা যাত্রী ভোগান্তি না হয়।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।