ঢাকা, সোমবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

দক্ষিণখানে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:২৩, অক্টোবর ২৪, ২০২০
দক্ষিণখানে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসা থেকে ফাতেমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

ফাতেমার স্বামী মো. সোহেল শেখ জানান, তাদের বাসা দক্ষিণখান ফায়দাবাদ ছাপড়া মসজিদ এলাকায়। ফাতেমার সঙ্গে এটি তার তৃতীয় বিয়ে। গত জুন মাসে ফাতেমাকে বিয়ে করেছেন তিনি। আর ফাতেমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বউয়ের সঙ্গে সোহেলের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় বউ গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

তিনি আরও জানান, বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় তাদের বাড়িওয়ালা আলী আহমদসহ রানা, আলমগীর, নাজমুল তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে। ভয়ে তার স্ত্রী ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলেননি। চলতি মাসে তিনি জানতে পারেন। এবং গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণখান থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলায় আলী আহমেদ ও রানা বর্তমানে কারাগারে আছে। গত দুইদিন আগে মামলা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের (স্বামী-স্ত্রী) মধ্যে ঝগড়া হয়। কিন্তু আজ কেন ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে, তা বলতে পারেননি সোহেল।

দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহা. জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যায় বাসায় এসে সোহেল ফাতেমাকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল মর্গে পাঠায়।  

তিনি আরও জানান, মামলার ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। গত পরশুদিনও তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ কারণেই ফাতেমা আত্মহত্যা করতে পারেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ফাতেমা গত জুনে ধর্ষণের শিকার হন। গত ৪ অক্টোবর তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় দুই আসামি কারাগারে আছে বলেও জানান এসআই মোহা. জয়নুল।  

বাংলাদেশ সময়: ০২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
এজেডএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।