ঢাকা, শনিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা দিল কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০২, মার্চ ১২, ২০২০
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা দিল কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

ঢাকা: স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানোর নায়কদের সম্মাননা জানিয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। রক্তদানের প্রতিদান অন্য কোনোভাবে শোধ করার সুযোগ না থাকায় এ সম্মাননা জানানো হয় বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি৷ 

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে ৩শ জন রক্তদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

 

তিনি বলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে কেউ কোনো স্বার্থের জন্য রক্ত দেয় না। সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে রক্ত দেয়। এতে বহু মানুষের জীবনের প্রদীপ জ্বলে উঠেছে।  
                
অনুভূতি প্রকাশ করেন ২৮ বার স্বেচ্ছায় রক্তদাতা আরশী মুনমুন বলেন, আমার প্রথম সন্তান জন্মের সময় কোথাও রক্ত পাওয়া যায়নি। তখন আমার স্বামী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে। তারপর থেকে মনে হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে আমার রক্ত দেওয়া উচিত। আমার স্বামী ৩৬ বারসহ মোট ৪৮ বার রক্ত দিয়েছে। আসুন আমরা সবাই স্বেচ্ছায় রক্ত দেই।  

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রক্তে বেঁচে থাকা থেলাসেমিয়ায় আক্রান্ত রকিবুল ইসলাম বলেন, ৩৩ বছরের জীবনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে রক্ত নিয়ে বেঁচে আছি। আপনারা রক্ত না দিলে হয়তো আমি মরে যেতাম। আপনাদের এই ঋণ আমি কোনোভাবে শোধ করতে পারবো না।

দশ, পঁচিশ ও পঞ্চাশবার রক্ত দিয়েছেন এমন ৩শ জনকে সম্মাননা জানানো হয়।  ৫০ বার রক্ত দিয়েছেন এমন পাঁচজনকে দেওয়া হয় প্লাটিনাম সম্মাননা।   

সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার প্রাণজিত লাল সেন, মোস্তফা আশরাপ সিদ্দিকী, ডা. কাজী ইমতিয়াজ রশিদ, মাওলানা ফয়সাল আশরাফী।

২৫ বার রক্ত দেওয়া ১২০ জনকে গোল্ডেন সম্মাননা ও ১০ বার রক্ত দেওয়া ১৭৫ জনকে সম্মাননা জানানো হয়।  

সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রক্তদান কর্মসূচির সমন্বক অনুষ্ঠানের সভাপতি মাদাম নাহার আল বোখারী।  

দেশের বিপুল রক্ত ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১৯৯৬ সালে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছারক্তদান কার্যক্রম শুরু করে। ২০০০ সালে ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্ত সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।