ঢাকা, শনিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য: জিল্লুর রহমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৩, আগস্ট ১৬, ২০২৫
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য: জিল্লুর রহমান বক্তব্য রাখছেন সিজিএসর প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। 

তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ এবং গণতান্ত্রিকচর্চাকে উৎসাহিত করতে ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’ শীর্ষক এক কর্মশালা ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুংয়ের (এফইএস) সহযোগিতা এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সিজিএসর প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান।  

অনুষ্ঠানে সিজিএসর নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী এবং এফইএস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার সাধন কুমার দাসও বক্তৃতা দেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, ডাকসু আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়। ছাত্ররা সব সময়ই ‘এন্টি-এস্টাবলিশমেন্টের’ ভূমিকা নিয়েছে, তাই জাতি সব সময়ই তাদের ওপর নির্ভর করেছে, আমাদের ইতিহাসও সেটাই বলে। কিন্তু সরকার কখনোই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ডাকসু নির্বাচন দেয়নি। এর মূল কারণ দলীয় রাজনীতি। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনও ছিল সবচেয়ে দুর্বল ও লজ্জাজনক।  

তিনি মনে করেন আগামী জাতীয় নির্বাচন স্বাধীন ও সুষ্ঠু না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তিনি বর্তমান সরকারকেও নিরপেক্ষ বলে মনে করেন না।  

তিনি জানান, যে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে, সেখানেই জবাবদিহিতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য।

পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে, এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার আগেও আমরা দেখেছি যে দেশের সব উত্থান-পতন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রধান সমালোচনার জায়গাটিও ছিল নির্বাচন। একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে পদক্ষেপগুলো প্রয়োজন, আজকের কর্মশালার মূল লক্ষ্য সে বিষয়ে আপনাদের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করা।

সাধন কুমার দাস বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সব উপাদানকে সুসংহত করতে হলে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার অপরিহার্য। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আজকের এই কর্মশালাটি গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক, ড. আসিফ এম শাহান।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের ভিত্তি, আদর্শগত ব্যবধান, ও সমসাময়িক রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে একসঙ্গে আলোচনা করেন।

কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের মাঝে মতাদর্শগত সংলাপকে উৎসাহিত করা এবং গণতান্ত্রিক সহাবস্থান ও বহুত্ববাদের চর্চা জোরদার করা।

টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ