শুক্রবার (১৭ মে) ভোর ৬টা থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু করে বিভিন্ন পরিবহন। রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ীর বাস কাউন্টারগুলোতে আগাম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
আপনজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আগাম টিকিট কিনতে ঘরমুখো মানুষ ভিড় করেছেন রাজধানীর সবগুলো বাস কাউন্টারে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আগাম টিকিট বিক্রি চলবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এবার ৩০ ও ৩১ মে এবং ৩ জুনের আগাম টিকিট বেশি বিক্রি হচ্ছে। ৩০ মে বৃহস্পতিবার থাকায় ওই দিন রাতে টিকিটের চাপ অনেক বেশি। যারা ৩০ মের টিকিট পাচ্ছেন না তারা পরদিন শুক্রবারের টিকিট কিনছেন। এছাড়া ৩ জুনের টিকিটের চাহিদাও বেশি।
তবে অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলছেন, ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিটে কৃত্তিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। সকাল ১০টায় কাউন্টারে টিকিট কিনতে গেলে শেষ হয়ে গেছে বলে জানান কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে ভোর থেকেই ভিড় করেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। অনেকে সেহরি খেয়েই চলে আসেন কাউন্টারে।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও যেতে ৩০ মের টিকিট কিনেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নূরে জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি সেহরি খেয়েই টিকিট কিনতে চলে আসি। ভোরে আসায় কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট নিশ্চিত করতে পেরেছি।
হানিফ পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের এক্সিকিউটিভ পলাশ মিয়া বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। ঈদের আগের দিনের অগ্রিম টিকিটও আমরা বিক্রি করবো।
শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, এস আর, নাবিল, ঈগল, এনা, দেশ ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেসসহ প্রায় পঁচিশটি বড় পরিবহন কোম্পানির বাসের আগাম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, ঈদে উত্তরবঙ্গের বাসের ব্যাপক চাপ থাকে। সড়কে যানজটও থাকে সেই বিষয়টি চিন্তা করেই বাসের টিকিট বিক্রি করছি।
গ্রিন লাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপক শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করছি। ঈদে আমরা অতিরিক্ত কোনো গাড়ি চালাবো না।
এর আগে গত ৯ মে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত বাস কোম্পানিগুলোর মালিকদের এক বৈঠকে আগাম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
টিএম/এমজেএফ