বৃহস্পতিবার (১৬ মে) র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
হলুদের গুদাম মেসার্স করিম এন্টারপ্রাইজে অভিযানকালে আস্ত হলুদ পরীক্ষা করে কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক রঙের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এ সময় মেসার্স করিম এন্টারপ্রাইজের মালিককে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে গুদামটিকে সিলগালাসহ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সময় কারওয়ানবাজারের আরও ৪টি মসলার গুদামে নষ্ট হয়ে যাওয়া হলুদ ও মরিচ রাখার দায়ে গুদামগুলো সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যামিকেল রং এই গুদামের হলুদগুলোতে মেশানো হয়েছিলো। যা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিভিন্ন অপরাধে ৫টি গুদামকে সিলগালা করাসহ একটি গুদামকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসব গুদামের মালিকরা অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এরপর কারওয়ানবাজারের স্বপনীল রেস্তোরাঁ-২ ও জনপ্রিয় খাবারের হোটেলে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, হোটেলগুলোর রান্না একই জায়গায় হচ্ছিলো। কিন্তু রান্নাঘরে অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা গেছে। এছাড়া খাবার রাখার ফ্রিজগুলো ছিল নষ্ট আর ভেতরে পচা-বাসি খাবারের পরিপূর্ণ। হোটেল দুটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও সাজানো-গোছানো হলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে আসছিলো।
এসব অপরাধে হোটেল দুটিকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সারওয়ার আলম বলেন, হোটেলগুলো অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির করে ক্রেতাদের পরিবেশন করে আসছিলো। এছাড়া তাদের খাবার রাখার ফ্রিজগুলো পচা খাবারে পরিপূর্ণ ছিলো। তাই দুটি হোটেলকে ৪ লাখ টাকা জরিমানাসহ হোটেলগুলোর ওপর নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এমন অবস্থা পাওয়া গেলে হোটলে দুটিকে সিলগালা করা হবে এবং মালিককে জেলে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
পিএম/এমজেএফ