শনিবার (০৪ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত যাকাত ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগে সপ্তমবারের মতো এ যাকাত ফেয়ারের আয়োজন করা হয়।
পরিকল্পনা বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে যাকাত। এটি ইসলামের একটি স্তম্ভও। তাই সমতা ও ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের বিত্তবানদের পরিকল্পিত উপায়ে যাকাত দিতে হবে।
সামর্থ্যবানদের যাকাত দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যাকাত সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য নিরসনের চমৎকার মাধ্যম। কিন্তু সেটা সমন্বিত উপায়ে আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে সামর্থ্যবানদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তবেই বৈষম্যমূলক সমতার সমাজ গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে আয় বৈষম্য নিরসন ও দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের গুরুত্ব দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে যাকাত দেয়া হয়, তাতে গ্রহীতা সাময়িকভাবে উপকৃত হলেও তা টেকসই হয় না। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাকাত আদায় ও বিতরণ করলে দারিদ্র্য বিমোচন টেকসই হবে।
কর ব্যবস্থাপনায় যাকাতকে প্রাধিকার দেয়া যায় কি-না, তা বিবেচনা করতেও সরকারকে অনুরোধ জানান দেশের এই প্রখ্যাত অর্থনীতিক।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বর্তমানে দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি যাকাত দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। তবে যাকাত ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে তা সুষমভাবে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
‘এজন্য দেশে বৈষম্য বাড়ছে। মুসলিম বিশ্বে যে ক্ষুধা-দারিদ্র্য রয়েছে, যাকাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা দূর করা সম্ভব। ’
আয় বৈষম্য নিরসনে কর ও যাকাতের তুলনামূলক অবদান তুলে ধরে সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, কর ধনী-গরিব সবার
কাছ থেকেই আদায় করা হয়। কিন্তু সবাই সমান সুফল পায় না। বিশেষ করে দারিদ্র্যের শিকার জনগোষ্ঠী এর সুফল থেকে বেশি বঞ্চিত।
‘কিন্তু যাকাত দেয় ধনীরা, আর গরিবরা সরাসরি তার সুফল পায়। তাই দারিদ্র্য বিমোচনে করের চেয়ে যাকাত বেশি কার্যকর পদ্ধতি। ’
অনুষ্ঠানে যাকাত ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
টিএম/একে/এমএ