শনিবার (৪ মে) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্রে জানায়, জেলরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাইনবাড়ি আশ্রয়কেন্দ্রে আয়না মতি বিবি (৯২) নামে এক অসুস্থ বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া এলাকার ইছামতী নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ। শুক্রবার (৩ মে) রাতভর জেলাব্যাপী ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে অনেক আম।
তবে শনিবার সকাল থেকে রৌদ্র উজ্জ্বল আবহাওয়া দেখা দেওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই দেওয়া দেড় লক্ষাধিক মানুষ ঘরে ফিরেছে। যদিও কিছুক্ষণ পর পর আকাশ গুমোট রূপ ধারণ করছে। বইছে দমকা হাওয়া।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ছয়শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় দুই হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
দুর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে এরইমধ্যে দুই হাজার ৭শ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ ৯২ হাজার ৫শ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃহনির্মাণে তিন লাখ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
জিপি