ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৭, মে ৪, ২০১৯
নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

নোয়াখালী: ঘূর্ণেঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে নোয়াখালীর সুবর্ণচর, হাতিয়া, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সদর উপজেলার উপকূল সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সুবর্ণচরে ইসমাইল নামে দুই বছরের এক শিশু নিহত এবং বিভিন্ন উপজেলায় শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এতে ওইসব অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এখনও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে।

শনিবার (৪ মে) ভোর রাতে জেলার উপকূলীয় উপজেলার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় প্রবল ঝড়ো বাতাস নিয়ে ফণী টানা দুইঘণ্টা তাণ্ডব চালায়।

নিহত শিশু ইসমাইল সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর আমানউল্লাপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।

স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। পরদিন ভোর সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে জেলার সুবর্ণচর, কবিরহাট ও সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে ঝড়ের সঙ্গে টর্নেডো আঘাত করে। এসময় সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর আমানউল্লাপুর গ্রামে একটি ঘর ভেঙে পড়লে মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় চাপা পড়ে শিশু ইসমাইল নিহত হয়। এসময় ওই এলাকায় আরও ৩০ জন আহত এবং শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

এছাড়াও জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, জাহাজমারা, সোনাদিয়া, চরকিং, চর ঈশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ও উপকূল সংলগ্ন কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর, চর এলাহী, কবিরহাটে ধানসিঁড়ি, ধান শালিক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এবং সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর, চর আমানউল্লাপুর, চর জব্বার, চর জুবলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং সদর উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় সহস্রাধিক কাঁচা ও টিনসেড ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) তন্ময় দাস বাংলানিউজকে বলেন, ঝড় শুরুর আগ থেকেই জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলা সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে। এখন দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা দেওয়া হবে। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা কাজ করছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

আহতদের চিকিৎসায় মেডিকেল টিম কাজ করছে। আজকের (শনিবার) মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলেও জানান ডিসি তন্ময় দাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।