ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

মতলব উত্তরে ফণীর আঘাতে ৪০ বসতঘর লণ্ডভণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, মে ৪, ২০১৯
মতলব উত্তরে ফণীর আঘাতে ৪০ বসতঘর লণ্ডভণ্ড

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তরের চরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে প্রায় ৪০টি বসতঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার (৪ মে) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঝড়ো বাতাসে বোরোচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘরে থাকা আসবাবপত্রও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর উল্লা বাংলানিউজকে বলেন, রাত ৩টার দিকে প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকে। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিও হয়েছে। ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৪০টি বসত ঘরের চাল, বেড়া তছনছ হয়ে গেছে। পুরো ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, একটি টিনসেড মসজিদের চালা উড়ে গেছে। আর এ পর্যন্ত ৪০টি বসতঘর ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এছাড়াও রান্না ঘরসহ গোয়াল ঘরেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সানাউল্লা মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ঘর-বাড়ি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বসতঘর, রান্নাঘর, টিনের মসজিদ, বাজারের দোকানপাট উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঘরে থাকা ফার্নিচারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। যাদের ঘর উড়ে গেছে তারা আপাতত স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুছাদ্দেক হোসেন মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ইউনিয়নের বোরোচর এলাকায় রাতে ঝড়-তুফানে অনেক ঘর-বাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। নির্দিষ্ট করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারছি না। তবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের ঘর তোলার জন্য সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।