সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মাদারীপুরের শিবচরজুড়ে বইছে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে সব প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও থেমে যাত্রীরা।
ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। হয়তো কোনোভাবে পদ্মা পার হওয়া যাবে, এই আশায় তারা ঘর থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছেন।
ঘাটের একাধিক ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে বাতাস ও টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। নৌরুট বন্ধ থাকার খবর জেনেও এসব যাত্রীরা এসেছে। এই অতি উৎসাহী যাত্রীরা স্পিডবোট চালকদের নানাভাবে বুঝিয়ে বাড়তি ভাড়া দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পদ্মা পার হবার চেষ্টা করেন। আর এদের কারণেও বৈরি আবহাওয়া চলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
‘নৌযান চলাচল বন্ধ’ খবর জেনেও কেন ঘাটে এসেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেক যাত্রী জানায়, অনেক সময় স্পিডবোট নিয়েও যাওয়া যায় বা ট্রলারে করেও পদ্মা পার হওয়া যায়। সেই আশায় ঘাটে এসেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে পদ্মা নদী। এসব বললেও যাত্রীরা সচেতন হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘাট এলাকায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু চালকদের দোষ না দিয়ে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে।
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সব নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাতে স্পিডবোট বা ট্রলার চলতে না পারে সেজন্য ঘাট এলাকায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এনটি