নিহত অনিক উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার ভাগদী গ্রামের কুড়াইতলী এলাকার অহেদ আলীর ছেলে। অনিক দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট।
নিহত অনিকের স্বজনেরা বাংলানিউজকে জানায়, কাজের উদ্দেশে অনিক চার মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। ওখানে তিনি যাওয়ার পর জোহানসবার্গ থেকে ডেবন শহরে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে একটি শপিংমলে কাজ করতেন। গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শপিংমলে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সে দেশের সন্ত্রাসীরা অনিককে ধরে নিয়ে যায়। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় তার আপন বড় ভাই ইউসুফ তার পাশের একটি এলাকায় কাজ করতেন। অনিককে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তার ভাই ইউসুফ ও অন্যান্য সহকর্মীরা মিলে অনিককে খুঁজতে থাকে। পরে তাকে না পেয়ে সে দেশের পুলিশের কাছে অনিকের নিখোঁজের বিষয়টি জানায় ইউসুফ।
অনিকের বাবা অহেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনিকের আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দক্ষিণ আফ্রিকান গুচি নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী গ্রামে অনিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে অনিকের মা। ছেলে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। বার বার অনিকের ছবিটি বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠছেন, আর চিৎকার করে বলছেন ‘আমার ছেলেকে তোমরা এনে দাও’।
এ সময় পরিবারের লোকেরা অনিকের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এনটি