অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রায় আধাঘণ্টা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ভিসি গেলো ভিসি এলো; উন্নয়নের কি হলো, ইউজিসি তুই জবাব দে, উন্নয়নে বাধা কোথায়, ইন্টারিম তুই জবাব দে, ইনজাস্টিস নো মোর ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় এখনো নামমাত্র অবকাঠামো নিয়েই চলছে। ৭টি অনুষদে ২৫টি বিভাগে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও প্রয়োজনীয় ৭৫টি কক্ষের বিপরীতে আছে মাত্র ৩৬টি। ক্লাসরুম-শিক্ষক সংকট, আবাসন সংকট, গ্রন্থাগারে বইয়ের অভাব, পুরনো-অস্বাস্থ্যকর পরিবহন ব্যবস্থা আর সংকীর্ণ ক্যাম্পাসের কারণে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এবার ববির এই সংকট মোকাবিলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ আমাদের উত্থাপিত তিন দফা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, প্রাপ্য অধিকার থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় বঞ্চিত। এতদিন আমরা আন্দোলন ক্যাম্পাসে সীমিত রেখেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে নমনীয়ভাবে আন্দোলন করলে কিছুই পাওয়া যায় না। তাই আমরা রাজপথে নেমেছি। সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি আমাদের উদ্দেশ্য নয়, বরং রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণই মূল লক্ষ্য।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য বাজেট পেয়েছে। কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এখনো অবহেলিত। তাই রাজপথই আমাদের ভরসা। দাবি আদায় হলে আমরা ঘরে ফিরে যাবো।
অবরোধের কারণে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। যাত্রীদের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। পটুয়াখালীর যাত্রী সখিনা বেগম বলেন, পেটের ব্যথার চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। অবরোধে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। কীভাবে বাড়ি ফিরবো বুঝতে পারছি না।
প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন— আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ না হলে এবং দাবি মানা না হলে দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেডসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এমএস