গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন মো. সারওয়ার আলম। পাথর কোয়ারি সংকট ও অন্যান্য প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তিনি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিক থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের চার দিনের মাথায় তিনি শহীদদের কবর জিয়ারত ও তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় গিয়ে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। প্রথমে কাকুরার মান্দার গ্রামে শহীদ সুহেল আহমদের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর শহীদ তারেক আহমদ, ময়নুল হোসেন এবং সর্বশেষ শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবের কবর জিয়ারত করেন। এসময় তিনি তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা মুক্ত পরিবেশ পেয়েছি। যে চেতনা নিয়ে তারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই চেতনা সমুন্নত রাখতে আমরা সবাই দায়বদ্ধ।
তিনি আশ্বাস দেন, প্রশাসন সর্বদা শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। তাদের প্রতি সম্মান ও যত্নের কোনো ঘাটতি হবে না। প্রয়োজনে যেকোনো সহযোগিতা করা হবে। এমনকি পরিবারের কারো চাকরির প্রয়োজন হলে প্রশাসন সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শনিবার নবাগত জেলা প্রশাসক সিলেট সদর উপজেলার ইনাতাবাদে শহীদ ওয়াসিম ও গৌরিপুর গ্রামের শহীদ মোস্তাকের কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব। একই আন্দোলনে নিহত হন ঢাকার ওয়াসিম, হবিগঞ্জের মোস্তাক এবং সিলেটের তারেক আহমদ ও ময়নুল হোসেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রিয়ম নিবাসে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে শহীদ হন সিলেটের বিয়ানীবাজারের যুবক সোহেল আহমদ।
এনইউ/এমজে