সোমবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বিজয় কেশব গোখলে একথা জানান। জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বিজয় কেশব গোখলে বলেছেন বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পূরণ করতে চান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসানে মিয়ানমারকে চাপ দিতে ভারতের সহযোগিতা চান।
সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।
আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব গোখলে বলেন, বাংলাদেশে মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিক আশ্রয় নেওয়ায় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, সে সম্পর্কে ভারত সচেতন আছে। নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে ভারত ধারাবাহিকভাবে মিয়ানমারকে বলে আসছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং নারী ও শিশুদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কথা বলেন। এজন্য ভারতের পক্ষে যতটুকু সম্ভব তা সবই করা হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসের আশংকার কথা উল্লেখ করে এক লাখ মিয়ানমার নাগরিককে ভাসানচরে স্থানান্তরের কথাও বলেন।
এছাড়া লন্ডনে কমনওয়েথভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের আসন্ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হবে বলেও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে জানান।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসকে/এনটি