সোমবার (০৯ এপ্রিল) ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানান। এর আগে ওই দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে রোববার (০৮ এপ্রিল) ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অ্যানি এখন সুস্থ। তিনিও বাড়ি যেতে চাচ্ছেন। তাই মঙ্গলবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে তাকে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে আসতে হবে।
আলমুন নাহার অ্যানি, গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। গত মাসের ১২ তারিখে স্বামী এফএইচ প্রিয়ক, একমাত্র মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামাররাকে নিয়ে অবকাশ যাপনে নেপালে যান।
কিন্তু ওইদিন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১টি।
এতে নিহত হন ৪৯ জন। এর মধ্যে পাইলট, কো পাইলট, কেবিন-ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন। এছাড়া আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি।
এর মধ্যে আহত তিনজনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হলেও দেশে আনা হয় সাতজনকে। তাদের মধ্যে শাহীন ব্যাপারী নামে একজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কবির হোসেনকে। আর নেপাল থেকে ফেরতের পর ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও শেখ রাশেদ রুবায়েতও ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অ্যানী মাঝে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। পরে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এজেডএস/এমএ