সোমবার (৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড দিয়ে টিএসসির চার দিকের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এসময় গণমাধ্যমের গাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
খানিকবাদে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে আন্দোলনকারীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের অবস্থান দেখা যায় বাংলা একাডেমির সামনে, আর রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীরা রয়েছেন টিএসসি মোড়ে।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে এবং হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার না করলে বিকেল থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সারাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেলে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা অবরোধ করেন শাহবাগ মোড়। রাস্তা থেকে তাদের হটিয়ে দিতে রাতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে মধ্যরাতেই রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রীরা। এতে উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা ক্যাম্পাস। এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক শাহবাগে এসে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু এরমধ্যেই ঢাবি ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনে ওই হামলা চালানো হয়। সেসময় দু’টি মাইক্রোবাস ও মসজিদের সামনে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগও করা হয়। পরে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে আরও কড়া অবস্থানে যায় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বরে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়। সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিছিল করে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ।
নিজের বাসভবনে হামলার বিষয়ে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, গতকাল রাতে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট নয়, একটি প্রশিক্ষিত ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লাশের রাজনীতির জন্য এ তাণ্ডব চালিয়েছে। এই হামলা স্বাভাবিক নয়। হত্যার উদ্দেশেই হামলাটি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এইচএ/
আরও পড়ুন
** আন্দোলনে বন্ধ ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের রাস্তা
** দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘট
** কোটা সংস্কার দাবি আন্দোলন রাবি-চবি-ইবি-শাবি-কুবি-ববিতেও
** জাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক
** কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ঢাবি শিক্ষার্থীদের
** হত্যার উদ্দেশ্যে ‘প্রশিক্ষিত গোষ্ঠীর’ হামলা: ঢাবি ভিসি
** ঢাবি-শাহবাগে স্বাভাবিক যান চলাচল
** টিএসসি থেকে দোয়েলচত্বরে আন্দোলনকারীরা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ
** হামলাকারীরা ছাত্র হতে পারে না, বহিরাগত: ঢাবি ভিসি
** আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান
** স্লোগান মুখর শাহবাগ-টিএসসি, পুলিশের টিয়ারশেল
** শাহবাগে থেমে থেমে সংঘর্ষ, টিয়ারশেল-রাবার বুলেটে আহত ৩০
** সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
** শাহবাগে কাঁদানে গ্যাস: প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ খুলনায়
** কোটা সংস্কার দাবি: আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস
** সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কোটা সংস্কারের আন্দোলন
** আন্দোলনকারীদের ফুল উপেক্ষা করে সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ
** কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে শাহবাগে অবরোধ
** কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা