ঢাকা, সোমবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ডেসটিনির এক মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৯, এপ্রিল ১, ২০১৮
ডেসটিনির এক মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

ঢাকা: ডেসটিনির চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের (অর্থ পাচার) একটি মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে।

রোববার (১ এপ্রিল) পাঁচ নম্বর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর থেকে বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত।

সাক্ষ্য শুরুর ১৫তম কার্যদিবসে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে এমএলএম (বহুস্তরের বিপণন) ব্যবসা পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বিভিন্ন প্যাকেজের শেয়ার দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন গ্রুপের পরিচালকেরা। ওই সব অর্থ ৩২টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের নামে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেছেন ডেসটিনির পরিচালকেরা।

আসামিরা হলেন- সাবেক সেনাপ্রধান ও ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারাহ দীবা, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন, শিরিন আক্তার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, সুমন আলী খান, সাইদুল ইসলাম খান, আবুল কালাম আজাদ এবং ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম।  

তদন্তে এ মামলায় নতুন করে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির, এএইচএম আতাউর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, বেস্ট এভিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান এম হায়দার উজ জামান, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কাজী ফজলুল করিম এবং সাবেক কর্মকর্তা মোল্লা আল আমীন।  

আত্মসাতের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে আরো অভিযুক্ত হচ্ছেন- বনানীর ইসলাম ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের শফিউল ইসলাম, বাগেরহাটের জিয়াউল হক মোল্লা, জেসমিন আক্তার, ফিরোজ আলম, শাহাজাদপুরের সেতু এন্টারপ্রাইজের সিকদার কবিরুল ইসলাম, বনানীর মমতাজ এন্টারপ্রাইজের ওমর ফারুক, ডিভেক রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, ডেসটিনি গ্রুপের কন্ট্রোলার সুনীল বরণ কর্মকার, ডেসটিনি-নিহাজ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস সহিদুজ্জামান, ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, ডেসটিনি এয়ার সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আকতার ও ডেসটিনি গ্রুপের অ্যাডভাইজার শফিকুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৮
এমআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ