রোববার (০১ এপ্রিল) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার প্রবর্তন বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোতে যেখানে ৫ হাজার শ্রমিক এবং বিকেএমইএ এর সদস্যভুক্ত কারখানা যেখানে ২ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত, তাদের মধ্য থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হবে।
আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে এ পুরষ্কার প্রদান করবেন।
আইন নির্ধারিত কর্মঘণ্টা অনুসৃত হয় কিনা, শ্রমিকের মৃত্যু, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অবসান, স্বেচ্ছাবসান, অবসর বা নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত কারণে, চাকরি ছেদজনিত প্রাপ্য পাওনাসমূহ আইন মাফিক পরিশোধ করা হয় কিনা, আইন মোতাবেক নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানসহ মাতৃত্বকালীন সুবিধা প্রদান করা হয় কিনা, শারীরিক মানসিক বা যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে অভিযোগ আনয়নের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, বিধি মোতাবেক শিশু কক্ষ আছে কিনা, প্রতিষ্ঠানটি সামগ্রিকভাবে পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্যস্বম্মত কিনা, পর্যাপ্ত আলো বাতাস সহনীয় শব্দের মাত্রা এবং আরামদায়ক উষ্ণতা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় কিনা, বিধান মোতাবেক প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয় কিনা, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে আইনানুগ সুবিধা অগ্রাধিকার প্রদান করা হয় কিনা, কারখানার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিধান মোতাবেক আছে কিনা, কারখানায় সেফটি কমিটি রয়েছে কিনা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি সংক্রান্ত কোন উদ্ধুদ্ধকরণ এবং চিত্ত বিনোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচি আছে কিনা- এসব বিষয়ের আলোকে এ পুরষ্কারের জন্য সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হবে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে এ পুরষ্কার প্রদান করা হবে। আগামী বছর থেকে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে সব সেক্টর থেকে সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, কলকারখান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জজামান ভূইয়া, অতিরিক্ত সচিব আশরাফ শামিম, বিজিএমইএর পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ইমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ