ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার হবে: উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৮, আগস্ট ২৫, ২০২৫
ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার হবে: উপদেষ্টা সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের সমস্ত কাজ করা হবে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি ও অবস্থান বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, রাস্তা সংস্কারে তিনটা ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রথম প্রতিকার হচ্ছে, যে রাস্তায় মানুষের যাতায়াত বেশি। তারপর তালিকা করতে হবে রাস্তার অবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে। তৃতীয়ত, রাস্তার কতটা অংশ খারাপ হয়েছে। এই তালিকাগুলো করতে হবে। দুঃখ প্রকাশ করছি রাস্তার সমস্যার কারণে জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বর্ষা তো সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখের দিকে শেষ হবে। এজন্য আমরা আগেই বসেছি এবং ধারাবাহিক সভা করব। প্রত্যেকটা রাস্তা আমরা ধরে ধরে শনাক্ত করব, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে কাজ করব। নিবিড়ভাবে মনিটরিং করব যাতে কাজটা ভালোভাবে হয়। শুধু যেন অর্থ দেওয়া না হয়, টেকসই হয়। যেখানে সম্ভব আমরা কংক্রিটের রাস্তা করার চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় সমস্যা হয়, কোন কোন জায়গায় রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করব। শুধু কাজ হচ্ছে কি হচ্ছে না সেটাই দেখব না, কাজের গুণগত মানও আমরা দেখব। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরেকটা সভা করব। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত কাজ আমরা করব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ফিটনেস বিহীন যানবাহন শুধু ডাম্পিংই করব না, যেসব যানবাহন অনেকদিন আগে ফিটনেস উত্তীর্ণ হয়েছে, সেগুলোকে জরিমানা করব। আর এই যে বর্তমান গাড়িটা চলে যায়, এই জায়গায় নতুন গাড়ি আসতে যে আর্থিক বিষয়টা রয়েছে, যে অর্থের প্রয়োজন, যাতে তারা সহজ শর্তে আনতে পারে। কারণ এখন সুদের হার অনেক বেশি। এ বিষয় নিয়েও আমরা আলোচনা করব। সহজ শর্তে যাতে ঋণ পেতে পারে। আর একটা জিনিস আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি, সেটা হচ্ছে, আমাদের এখানে দ্রুত গাড়ি খারাপ হয়ে যায়, নিম্নমানের গাড়ি। এরকম একটা আইডিয়া, একটা জায়গা থেকে দেওয়া হয়েছে যে, একটা দেশ নির্ভর মার্কেট হওয়ার ফলে আমাদের সড়কের যানবাহনের গুণগত মান বাড়ছে না। সেই জন্য আমাদের আমদানির বিষয়টা একটু সংস্কার করা দরকার। সেজন্য বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ডাম্পিং করা মানে হচ্ছে মেসেজ দেওয়া যে, যিনি মালিক আছেন তাকে কথাটা বলা যে, আপনার গাড়িটা বদলান। কারণ আমরা তো শুধু ডাম্পিং না জরিমানাও করছি।

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, অটোরিকশা যারা চালায় তারা বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে বেআইনিভাবে চার্জ দিতে না পারে। অটোরিকশা রিস্কি, এগুলো উঠিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এগুলো কিন্তু লোকের কর্মসংস্থানেরও উৎস। আমরা মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে পারছি না। প্রত্যেকটা অটোরিকশার পেছনে কিন্তু একটা পরিবার আছে, পরিবারের জীবনধারণ হয়। আর যদি আমরা বলি, এগুলো চলতে দেওয়া হবে না, পুলিশ যদি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে তাহলে কতগুলো লোক রাস্তায় নেমে আসবে এবং এরপরে কি আদৌ কেউ রাস্তায় চলাচল করতে পারবে?

এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ