একই সঙ্গে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এমএস রড ও সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি করে নির্মাণ খাত ধ্বংসের পায়তারা বন্ধ করারও দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি মনির উদ্দিন বলেন, গত নভেম্বর থেকে এম এস রড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোনো নিয়মনীতি না মেনে অস্বাভাবিক এবং অব্যাহত রডের মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। মূল্য বৃদ্ধির পেছনে পরিবহন খরচ, ডলারের দাম বৃদ্ধি, ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির কারণ দেখিয়েছে। তবে এ মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ অস্বাভাবিক। প্রকৃত পক্ষে ৭ থেকে ৮ শতাংশ রডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে তা কোনো ৫০ শতাংশ হতে পারে না।
‘ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে প্রধান উপাদান এমএস রড। তাই এ রডের মূল্য বৃদ্ধি পেলে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাবে। আমরা নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য হিসাব করে টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে থাকি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিক্সড রেটে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তাই নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বাড়লে সরকার থেকে আমরা কোনো ভর্তুকি পাই না। ’
তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলমান কাজ ধীরগতির হয়ে পরেছে। কোথাও কোথাও আংশিক বন্ধ হয়ে গেছে। নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে ৪০ লাখ মানুষ জড়িত। নির্মাণ কাজ বন্ধ হলে এরা সবাই বেকার হয়ে পরবে। এছাড়া কাজ ধীরগতির হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নও সম্ভব হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এমএস রড ও সিমেন্টের সিন্ডিকেট ভাঙা না গেলে অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দামও বেড়েই চলবে। বিষয়টি দেখতে সরকারের প্রতি দ্রুত প্রাইজ অ্যাডজাস্টমেন্ট ক্লোজ ২৭.৯ কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
এ দাবি মানা না হলে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসিআই এর সাবেক সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম, সফিকুল আলম ভূইঁয়া, সদস্য শফিকুল হক তালুকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এমসি/এমএ