এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার মূল থেকে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ব জনমত গঠন করতে অন্যান্য দেশগুলো ভূমিকা পালনের প্রতি গুরোত্বারোপ করেন।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের আইপিইউ’র ১৩৮তম সম্মেলনে চীফ হুইফ এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংসদীয় সংস্থা হিসেবে আইপিইউ’র সংসদ সদস্যগণ একত্রিত থাকলে বিশ্বের বাস্তুভিটাহীন নিপীড়িত মানুষগুলোর সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে ‘টেক্সট বুক অন ক্রিমিনাল অব এথনিক ক্লিনজিং’ অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন। এ বিষয়ে চিফ হুইফ বলেন, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি নির্মম নির্যাতন ও তাদের নিজস্ব ভিটামাটি থেকে বিতাড়িত হওয়ার বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় অবগত আছেন। আমাদের কাছে এটাই প্রথম নয়। বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষের দ্বায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশায় যদি বাংলাদেশ পাশে না দাঁড়ায়, তবে তা হবে অমানবিক।
এ সময় চীফ হুইপ জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা তুলে ধরে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শান্তিপূর্ণ সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছে বিশ্বকে একটি নতুন বার্তা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশের উচিত সার্বজনীন বিশ্ব মানবধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস